১ম- সত্যধর্ম্মের শ্রেষ্ঠতা সূচক সঙ্গীত
২য়- নির্ব্বেদ-জনক সঙ্গীত
৩য়- মনের প্রতি এবং জনের প্রতি
৪র্থ- গুণকীর্তন এবং স্বীয়
৫ম- স্বীয় পাপ উল্লেখ তজ্জন্য আত্মগ্লানি ভোগ।
৬ষ্ঠ- পাপ হইতে মুক্তি জন্য প্রার্থনা
৭ম- গুণের জন্য প্রার্থনা
৮ম- ধ্যান
৯ম- দীক্ষাবিজ পপ
১০ম- জগদীশ্বরের কৃপাময় স্তব
১১শ- জগদীশ্বরের আনন্দময় স্তব
১২শ- জগদীশ্বরের ধন্যবাদ
উপাসনার এই পদ্ধতিমালার বাইরে আত্মোন্নতি সম্ভব না। সৃষ্টির নিয়মে আমরা সবাই সাধক।কারন আমরা কিছু না কিছু পেতে চাই। সাধনা জেনে করলে তা মধুর হয়। আমাদের মধ্যে বৈশিষ্ট্যের তারতম্য আছে যার ভিত্তিতে আমরা স্বতন্ত্র। যে বৈশিষ্ট্যের আধিক্য অধিক তা একমাত্র বৈজীক ভাষায় দীক্ষা দাতা,গুরু হওয়ার উপযুক্ত গুণাবলী সম্পন্ন আদিষ্ট জানাতে পারেন । যে বীজে আমরা পরমেশ্বর থেকে জন্মগ্রহণ করেছি সেই বীজের উন্নতি সাধন দ্বারা আমাদের মধ্যে এবং এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সৃষ্টিকর্ত্তার অস্তিত্ব অর্থাৎ গুণের অস্তিত্ব উপলব্ধি করা এবং ব্রহ্মজ্যোতিরূপ পরমানন্দ লাভ করাই আমাদের জন্মগ্রহণ করার সার্থকতা। সত্যের প্রতি যার সদা দৃষ্টি তিনি আদিষ্ট, সত্যধর্ম্মের গুরু শব্দে বিবেচিত হন। বর্তমান আদিষ্ট নিরুপম তিনি ঈশ্বর গুরুনাথ এর পদ্ধতি অনুরূপ উপাসনা পদ্ধতির সংস্কার করেছেন। যদি কোন সাধক বা সাধিকা সত্য গুণের উপাসনা করতে আগ্রহী হন তবে সত্যধর্ম্মের শ্রেষ্ঠতা সূচক সঙ্গীত থেকে শুরু করে জগদীশ্বরের ধন্যবাদ এবং গুরু আহ্বান ও গুরুদেবের ধন্যবাদ সমস্ত গান সত্য গুণ সংক্রান্ত হতে হবে। ধ্যান বলতে চিন্তা করা সেই ধ্যানের সময় সেই গুণের সংজ্ঞা অর্থাৎ বৈশিষ্ট্য চিন্তা করতে হবে ইত্যাদি। পরমেশ্বর অনন্ত অনন্ত অনন্ত গুণময় তাই তাঁকে আত্মার আভরণ করার সময় কোন সাকার কিছু রাখা যাবে না।গুণ নিরাকার। ইত্যাদি বহু কিছু রত্ন আবিষ্কার করে এই পৃথিবীবাসীর উদ্ধারের পথ প্রশস্ত করেছেন আমাদের প্রবর্ত্তক গুরু সত্য পথের ধারক,বাহক এবং পথপ্রদর্শক।
উপাস্যকে আত্মার আভরণ করাকে উপাসনা বলা হয়। গুণের অভাবে আমাদের আত্মা নিস্তেজ অবস্থায় থাকে।যে বীজে আমরা সৃষ্টি হয়েছি সেই বীজের মধ্যে আমাদের বৈশিষ্ট্য সঞ্চিত থাকে। উপাসনার প্রধান দুইটি অংশ গুণকীর্তন এবং স্বীয় পাপ কথন। তত্ত্বজ্ঞান উপাসনা খন্ডে সত্যধর্ম্মের আবিষ্কারক ঈশ্বর গুরুনাথ উপাসনা পদ্ধতি লিপিবদ্ধ করেছেন। তাঁর সময়ে যে চারজন মহাত্মা একত্ব প্রাপ্ত হয়েছিলেন অর্থাৎ পরমেশ্বর এর অনন্ত গুণের মধ্যে কোন বিশেষ গুণের অনন্ত ভাব জেনেছিলেন সেই চারজন সাধক বিনা সঠিক পদ্ধতিতে উপাসনা করা হয়নি তাই আত্মোন্নতি বিন্দুমাত্র হয়নি। নিজে করতে পারা তো পরের বিষয় কিন্তু গুরুদেব সাধনা প্রভাবে যে যে সিদ্ধি অর্জন করেছেন চিঠিতে যেগুলোর স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় সেইসকল গুণের পরোয়া না করে সত্য ধর্মের নিয়মকে বিকৃত করেছে।এরা কল্পনা, মিথ্যাচারে এত আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়েছে যে সেই অজ্ঞানতা কাটিয়ে সত্যকে অন্তরস্থ করতে পারছে না।
উপাসনার উদ্দেশ্য গুণ অর্জন। এক্ষেত্রে গুরুদেবের লেখনীই সর্বশ্রেষ্ঠ কারণ তা সত্যতায় পরিপূর্ণ। বর্তমান আদিষ্ট কর্তৃক এই উপাসনা পদ্ধতি সংস্কার পূর্বক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সত্যের উৎকৃষ্ট সাধক যিনি সত্যগুণে ব্রহ্মদর্শী,আদিষ্ট অর্থাৎ গুরু হওয়ার উপযুক্ত সকল গুণাবলী সম্পন্ন, গুরুদেবের যতপ্রকার সিদ্ধি ছিল সেই সকল সিদ্ধি প্রাপ্ত না হলে উপাসনা পদ্ধতির সত্যতা আবিষ্কারক করা যে সম্ভব না একথা অক্ষরে অক্ষরে সত্য।
0 মন্তব্যসমূহ