শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে।


 

শিক্ষার্থীদের বলছি!


অন্যান্য ধর্মে সত্য প্রতিষ্ঠিত নেই তার জলজ্যান্ত উদাহরণ দিচ্ছি, যার জন্য পৃথিবীতে এত বিবাদ। দুই অন্ধের মধ্যে বিবাদ বেঁধেছে, হাতির রূপ কেমন? একজন বলছে হাতি কুলোর মতো কানে হাত দিয়ে আর একজন বলছে না মুলোর মতো দাঁতে হাত দিয়ে। কেননা এক ধর্ম্ম সম্প্রদায় মূর্তির ঘোর বিরোধী তাই গায়ের জোরে হিংসাত্মক হয়ে মূর্তি ভাঙার খেলায় মেতেছে। গায়ের জোরে ধর্ম বোঝাতে চায়। তারা বোঝায় আমাদেরটা ঠিক। মিথ্যা দিয়ে সত্য অসত্যের বিচার করা যায় না জ্ঞান দিয়ে বিচার করতে হয় তা হচ্ছে কই? কল্পনা মাত্র মিথ্যা আর মিথ্যামাত্রই পাপোস্পর্শ হয় এটা যেমন ঠিক, তেমন যারা মূর্তি ভাঙছে তারা যে মনে করে আমরা ঠিক করছি। তাদের মধ্যে আরেক নিকৃষ্ট কল্পিত ভাব রয়েছে, যেমন বিধর্মীদের মারলে পরলোকে নারী সুখ পাওয়া যায়, তাদের এইটুকু জ্ঞান নেই যে পঞ্চভুতের দেহ ফেলে রেখে যেতে হয় এই ধরাধামে এই গঠনই যখন থাকে না তখন পরলোকে নারী কেমন আর পুরুষইবা কেমন? এক মিথ্যাচার আরেক মিথ্যাচার কে হিংসা দিয়ে দমন করার খেলা চলছে সারা পৃথিবীতে। ধর্মের কাজ সত্য অবলম্বন করা জ্ঞানের মাধ্যমে। ধার্মিকেদের হিংসা, বিদ্বেষ কাম ক্রোধ লোভ মোহ-মদ এগুলো মুক্ত থাকতে হয়। কিন্তু চলছে কি ধর্মের নামে? সকলেই একবাক্যে স্বীকার করে ঈশ্বর (গুণ) নিরাকার কিন্তু কল্পনাকে ধর্ম্ম মানে অর্থাৎ মিথ্যাকে আবরণ করে রেখেছে ধর্ম্মের মোড়কে। মূল কথা গুণ সত্য তা অর্জনের জন্য এসেছি এই পৃথিবীতে। মিথ্যাকে অবলম্বন করে সত্যকে জানব কি করে????

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ