প্রেমময় এঁর প্রেম রাজ্য অর্থাৎ অনন্ত অনন্ত অনন্ত গুণময় এঁর সৃষ্ট এই জগতে কি জীব কি জড় সকলই গুণ দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে।বহু গুণ একত্রিত হয়ে একটি বস্তু পদার্থ সৃষ্টি হয়।যেমন দৈর্ঘ্য,প্রস্হ,বর্ণ,গন্ধ, কাঠিন্য,স্হায়ীত্ব ইত্যাদি। তেমনি পরমেশ্বর এঁর অনন্ত গুণের মধ্যে প্রেম সকল গুণের জননী। পরমেশ্বর এঁর নিয়মে আমরা প্রেমের শৃঙ্খলে আবদ্ধ। অজ্ঞানতা বশত, গুণের অভাবে,ব্যাক্তি স্বাধনতার কবলে আমরা বিশৃঙ্খল হয়ে আছি । ফলস্বরূপ আমরা প্রেমের বিপরীতে যে অষ্টপাশ ষড়রিপু (কাম,ক্রোধ,লোভ,মদ,মাৎসর্য্য ইত্যাদির) দানবিক শৃঙ্খলে প্রতি মূহুর্তে আবদ্ধ যেগুলি আমাদের গুণ অর্জন এর পথে বাঁধা সৃষ্টি করে।
প্রেম আত্মাকে উজ্জিবিত করে,যিঁনি প্রেমময়ী সাধক হন প্রতি মূহুর্তে প্রেম দ্বারা তিঁনি অপরকে নতুন উদ্বুদ্ধ করে নবভাবে প্রবর্তন করতে পারেন।
প্রেমের শৃঙ্খল আছে বলেই সকল বিষয়ের সৃষ্টি,স্থিতি,লয় ক্রমানুসারে জানা সম্ভব।
প্রেম শরীর দ্বারা হয় না,আত্মার গুণ দ্বারা হয়।তাই একজন পুরুষ আরেকজন পুরুষের প্রতি প্রেম করতে পারে এটি আইনত সিদ্ধ কারন সত্য সকলকে মানতেই হবে। তবে নিয়ম অনুসারে শরীরের ভূমিকা আছে।
প্রম বিনা কোন কিছু আবিস্কার সম্ভব না, বিজ্ঞানী,শিল্পী,কবি, সাহিত্যিক, সকলকের সৃষ্টির মধ্যে প্রেমের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
বর্তমানে প্রায় সকলে অভিমান কে প্রেম ভেবে অন্ধকারে নিমজ্জিত।প্রেমে চাওয়া পাওয়া থাকে না, নিঃস্বার্থ ভাবে কেবল দিয়ে যেতে হয় অপরদিকে কোন কিছু চেয়ে না পেলে অভিমান হয়।প্রেম,এই পরম ধনের বৈশিষ্ট্যই সকলের কাছে অজানা।১৮৮৫ সালে ২০ শে অক্টোবর ইহলোকে ঈশ্বর গুরুনাথ সেনগুপ্ত সাধারণের জন্য সত্য ধর্ম্ম আবিষ্কার করেন। প্রেম গুণের পরাকাষ্ঠা লাভ করেছিলেন বিশ্বময়ি দেবী,তাঁর প্রেমের সংজ্ঞায় প্রেমের শৃঙ্খল বর্ণিত আছে।প্রেম আমাদের শৃঙ্খলা বোধ তৈরিতে বিশেষ সহায়ক। প্রেমের ক্ষুদ্র রূপ হলো ভালোবাসা।
0 মন্তব্যসমূহ