এখানে স্পষ্ট যে আত্মাকে নয় প্রাণকে হত্যা করা যায়।প্রাণের ধর্ম্ম হৃদস্পন্দন যেটা হৃদপিণ্ডে কার্যকরি হয়।
দেহে কেন কর মন আপন বলিয়া জ্ঞান,
পীরাণে শরীর জ্ঞান করে ভবে কোন জন ?
ছিঁড়িলে বসন চয়,
অন্য বসন যথা লয়,
তথা হলে দেহ লয়,
দেহান্তরে ধরে জন।
দেহ যদি আত্মা হত,
দেহ থাকতে না মরিত।
জীবিত সমর্থ রত
যাবত দেহ সংস্হান।
দেহ পঞ্চভুতময়,
আত্মা ভূতাতীয় হয়,
তাতে এত ভ্রমদয়,
হয় কেন তব মন ?
*** কবিরত্ন ঈশ্বর গুরুনাথ।
মরণের পরে কিবা দশা হয় ভাবে জনে,
আত্মা নিত্য সুখ দুঃখ সহে স্বকরম গুণে।
পাপীজন কর্ম্ম বলে,জর্জ্জর হয় পাপ বিষে,
বিকারী যেমন ভাষে,তথা হাসে কাঁদে ক্ষণে।
পুনর্জ্জন্ম হয় কারো,
তাতেও নাহি নিস্তার,
কেহ খঞ্জ,কেহ অন্ধ,
কুষ্ঠে কষ্ট পায়-
কারে ভগন্দরে ধরে,কারে বা অর্শেতে ঘেরে,
চীৎকারে কাতর অন্তরে,কেহ অশ্মরী বেদনে।
সুখী হয় পূণ্যবান,
নানাগুণে গুণবান,
নিত্য শান্তি ভোগ করে,
অতুলন তাহা---
প্রেমরসে প্রেমাবেশে, ক্রমশঃই সুখে পশে,
মধুর সুধার রসে,ভাসে বিভু দরশনে।।
*** কবিরত্ন ঈশ্বর গুরুনাথ।
0 মন্তব্যসমূহ