লোভ কেমন ভালো। What kind of greediness is good.


 আমরা কতটা কামুক, কতটা ক্রোধিত, কতটা লোভি, কতটা পরশ্রীকাতর, কতটা স্বার্থপর,কতটা কেমন তা জানার সুদিন এসেছে। এসব পাশবিক প্রবৃত্তি থেকে মুক্তি পাওয়াই মানব জন্মের সার্থকতা।সেই উদ্দেশ্যে পরমপিতার একমাত্র অভিপ্রেত পথ ১৮৮৫ সালে ২০ শে অক্টোবর প্রকাশিত হয়েছিল। পরমপিতা করুণাময়,তিঁনি মঙ্গলময় বলেই সত্যধর্ম্মের আবির্ভাব হয়েছে; কোটি কোটি মানুষের উদ্ধারের পথ আজ আবিষ্কার হল। ঈশ্বর গুরুনাথ যিঁনি এই পথে আবিষ্কারক তাঁর জন্মজন্মারের সাধনার ফলে, পারলৌকিক মহাত্মাগণের সহায়তায় আমরা এই পথের সন্ধান পেয়েছি।সেই অশেষ গুণভূষিত মহাত্মা ঈশ্বর গুরুনাথকে প্রণাম জানাই।আমরা ওই চরণের যোগ্য নই তবুও তিঁনি আমাদের মত পাপী তাপীদের স্নেহ কোলে ধারন করেছেন এবং উপাসনা সাধনা দ্বারা দোষকে বর্জন করে গুণানুশীলনের মাধ্যমে উদ্ধারে দায়ভার গ্রহণ করেছেন।


যতদিন না পৃথিবীর সমস্ত ধর্ম্মে সত্য অর্থাৎ বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠিত না হবে ততদিন সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে বিবাদ লেগেই থাকবে। সবাই মনে করে তার ধর্ম্ম সত্য যদি তাই হয় তাহলে বিবাদ থাকার কথা না কিন্তু বিবাদ ত হচ্ছে। বিবাদ যখন হচ্ছে তাহলে ঐ ধর্ম্মে কতটা সত্য কতটা অলিক তা প্রমাণ করা উচিৎ। সত্য শিক্ষাই বিজ্ঞানের উৎসঃ প্রতিফলিত হয় প্রকৃত জ্ঞান অর্জনেই‌ মাধ্যমে যা প্রকৃত ধর্ম্মের কাজ। সত্য প্রতিষ্ঠা হলে কোনও ধর্ম্ম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাদ থাকবে না। সত্য যদি ধর্ম্মের মূল হয় তাহলে বিবাদ কিসের? সত্য পশুকে মনুষ্যত্বের রূপ প্রদান করে আবার সত্য মনুষ্যত্ব থেকে দেবত্বে পরিণত করে ও দেবত্ব থেকে ঈশ্বরত্বে পরিনত হয়। পৃথিবীর সকল ধর্ম্মের সমন্বয় গবেষণা কেন্দ্র থাকা উচিৎ যেখানে একটাই শর্ত থাকতে হবে পৃথিবীতে সত্য প্রতিষ্ঠা করা যেখানে মিথ্যা, অলিক কিছু থাকবে না যেখানে বিশেষ জ্ঞানে সত্য প্রতিষ্ঠা হবে। যাকে আমরা বিজ্ঞান বলি যা সত্য তাই বিশ্বাস করি সুতরাং ধর্ম্মে কেন বিজ্ঞান থাকবে না? যেদিন ধর্ম্মে বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠিত হবে সে দিন আমরা প্রকৃত মানুষ বলতে পারব। পৃথিবীতে আসার মূল উদ্দেশ্য গুণ অর্জন। সে গুণ অর্জনের মধ্যে দিয়েই আমাদের পৃথিবীকে সুন্দর ও পবিত্র করতে পারব। সত্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠায় পৃথিবীবাসীর প্রকৃত মঙ্গল সাধিত হবে।

-সত্যের আলোয় সকলের হৃদয় আলোকিত হোক এই আশা রাখি। বাইরে থেকে লক্ষ্য কোটি প্রদীপ জ্বালিয়েও যে অন্ধকার দূর করা যায়  না। আজকের দিনে বাইরে থেকে সেই কার্য ঘটছে। প্রদীপ জ্বালানো অবশ্যই ভালো কাজ তবে কেবল বাইরে থেকে প্রজ্বলিত প্রদীপ ক্ষণস্থায়ী তাকে চিরস্থায়ী করার জন্য ১৮৮৫ সালে ২০ শে অক্টোবর ঈশ্বর গুরুনাথ সত্যধর্ম্মের আবিষ্কার করেছেন। প্রকৃত অর্থে সত্যতা বজায় রেখে মনগড়া কল্পনা, মিথ্যাচার , ভন্ডামি, এবং কুসংস্কারমুক্ত হয়ে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে ধর্ম্মকে জানার পথ প্রকাশিত হয়েছে। অন্ধবিশ্বাস নয় সকলকে যুক্তি দিয়ে যাচাই করতে বলছি। অষ্টপাশ ষড়রিপুকে নিয়ন্ত্রণ করে গুণের অভ্যাস করাই মানব জন্মের সার্থকতা কারণ পৃথিবীতে যতপ্রকার অন্যায় কার্য্য ঘটে সবই এই পাশবিকতার তাড়নায়।
"অন্তরে বাহিরে আছো মোরে ঘিরে দেখে না অন্ধ নয়নে" ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ