দুপুরের উপাসনা।
নৈশ উপাসনা।
শ্রেষ্ঠতাসূচক সঙ্গীত ৭ মিনিট
নির্ব্বেদ-জনক সঙ্গীত :৭ মিনিট
মনের প্রতি :৭ মিনিট
জনের প্রতি :৯ মিনিট
গুনকীর্ত্তণ :১:৩০মিনিট
স্বীয় পাপের উল্লেখ :৭ মিনিট
পাপ মুক্তিএবং গুণের জন্য প্রার্থনা :২০ মিনিট
ধ্যান :১০ মিনিট
কৃপাময় ও আনন্দময় স্তব :১০মিনিট
ধন্যবাদ ও প্রণাম :১৩ মিনিট
সত্যধর্ম্ম গ্রহণের প্রথম শর্ত্ত সহজ জ্ঞান, নির্ভরতা ও বিশ্বাস গুণ থাকা আবশ্যক। ১) সাকার উপাসনা নাই। সুতরাং উপাসনা কালে কোনও সাকার অর্থাৎ গুরুদেবের ছবি এবং কোন কল্পিত দেবদেবীর ছবি মূর্তি রাখা যাবে না কারন গুণ নিরাকার তাকে দেখা যায় না, ধরা যায় না উপলব্ধি দিয়ে অনুভব করি।মানব জন্মের মূল উদ্দেশ্য গুণ সাধন। নিশ্চয়ই মিথ্যা সাধন না। ২) যোগসাধনা নাই। অর্থাৎ কোনও রকম আসন করতে হবে তা নেই। ৩) জাতিভেদ নাই। অর্থাৎ সবাইকে সমান ভাবে দেখতে হবে। ৪) ঈশ্বরে লিন হওয়া নাই। অর্থাৎ আমি পরমপিতা এই পাপের কাজ যাতে না হয়। এই চারটি জানানো। ৫) গুরু ভিন্ন কাহারো পূজা করিবে না। ৬) কল্পিত দেবদেবীর ছবি মূর্তি পূজা করতে পারবে না। ৭) প্রানান্তেও মিথ্যা বলিবে না। ৮) দান গ্রহণ করিবে না। ৯) সত্যে নিজেকে উৎসর্গ করবে। ১০) সত্যধর্ম্মের নিয়মে সমস্ত কার্য্য করবে। ১১) গুরুবাক্য লঙ্ঘন করবে না। ১২) গুরু যাহা যখন বলে তাতে দোষ গুণ বিচার করবে না। ১৩) গুরুর কাছে নিজ ভার অর্পণ করবে। ১৪) সর্ব্ব কার্য্যে গুরুকে স্মরণ করবে।১৫) পিতা মাতাকে সেবা করবে।১৬) নিখিল বিশ্বের সমস্ত নরনারীকে সহোদর ও সহদরার ন্যায় জ্ঞান করবে।১৭) গুরুকে সর্ব্বপরি রাখবে।১৮) পিতৃকুল মাতৃকুলের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন তর্পণ করবে। ১৯) প্রতিদিন তিন ঘন্টা উপাসনা করবে। ২০) যারা উন্নতি করতে চায় তারা ৬ ঘন্টার অধিক অবশ্যই উপাসনা করবে। ২১) প্রতিদিন তিনবার গুরু পূজা করবে। ২২) প্রতিদিন গুরু মূর্তি ধ্যান করবে। ২৩) গুরুকে নিবেদন করে খাবে। ২৪) কোন কার্যের আদিতে-অন্তে ও মধ্যে গুরুর স্মরণ করবে।২৫) যতক্ষণ না নিজেকে তৈরি করতে পারছ ততক্ষণ কোন ধর্ম বিষয়ে আলোচনা কারো সাথে করবে না। ২৬) গুরুর সিদ্ধি সমন্ধে অপরকে জানানো। ২৭) গুরু হওয়ার উপযুক্ত গুণ সম্বন্ধে জানানো। ইত্যাদি ইত্যাদি ভালো ভাবে বুঝিয়ে প্রবেশ করাতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ