সত্যধর্ম্ম-www.satyadharmma.com/
সত্যধর্ম।
এই বিশুদ্ধ ধর্মের মতে সাকার উপাসনা নাই, যোগ সাধনা নাই, জাতিভেদ নাই, এবং নির্ব্বাণ (ঈশ্বরে লীন হওয়া নাই)। লীন অর্থে আমি পরমেশ্বর বা সোহং এই নিকৃষ্টতম অবস্থা নাই। উক্ত বিষয় গুলো পৃথিবীতে প্রচলিত সকল ধর্মে আছে, তাই হিন্দু,মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, শিক, স্পিরিচুয়ালিষ্ট, ব্রাহ্মধর্ম ইত্যাদি থেকেও ভিন্ন, সত্য এবং উৎকৃষ্ট ।
এসকল ধর্মের নিয়ম প্রনালীর মধ্যে সত্যধর্ম পরে না। সত্যধর্ম পারলৌকিক প্রধান ধর্ম্ম। আত্মাকর্ষনের ন্যায় উৎকৃষ্ট উপায় দ্বারা এই ধর্ম প্রাপ্ত।
সত্যধর্ম এক অদ্বিতীয় সর্বশক্তিমান নিরাকার পরমেশ্বরে বিশ্বাস করে।
সত্যধর্ম জাতিভেদ প্রথাকে ঘৃণা করে জাতিভেদ অর্থাৎ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান এছাড়া বিভিন্ন প্রাণী,জীব, জন্তুর মধ্যে ভেদাভেদ হিংসাকে নিন্দা করে কারন জগতে সৃষ্ট সকল জীব এক পরমেশ্বরের সৃষ্টি। জাতি বর্ন গোত্র ইত্যাদি নির্বিশেষে সকল মানব ঈশ্বরে বিশ্বাস সহযোগে সত্যধর্ম অবলম্বন করতে পারে। জগতে বিজ্ঞান বলে যা অভিহিত হয় সেটাই সত্য আর সত্যই হলো ধর্ম। তাই ধর্মের নামে কুসংস্কার, মিথ্যা কল্পনাকে অবলম্বন, এগুলোকে সত্যধর্ম প্রাধান্য দেয় না।
সত্যধর্মের মতে ঈশ্বর উপাসনা এবং গুণসাধন সর্ব্বপ্রধান কার্য্য।
সত্যধর্মীদের সংবিধান রয়েছে, তাদের বিবাহ,সৎকার ইত্যাদি কার্য্যের নিয়মাবলি সেখানে লিখিত আছে। বছরে বেশ কয়েক টি উৎসব সত্যধর্মাবল্বমীরা করে থাকে যেখানে ঈশ্বর উপাসনা প্রধান। মহাত্মা গুরুনাথ লিখিত উৎসব গুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য- "মিলনোৎসব" "শিশিরোৎসব" "শরদুৎসব" "বসন্তোৎসব" "মধুৎসব" ইত্যাদি। এছাড়া আরো কয়েকটি উৎসব হয়ে থাকে তার মধ্যে "জন্মোৎসব" অন্যতম।
ভারত বর্ষের পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, উড়িষ্যা সহ বিভিন্ন স্থানে এবং বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ, খুলনা,বরিশাল, মাদারীপুর, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে এদের বসবাস।
সত্যধর্ম আবিস্কারক 'দেব-মানব মহাত্মা গুরুনাথ সেনগুপ্ত কবিরত্ন' ১৮৮৫ সালের ২০ অক্টোবর ঈশ্বর আদেশে সত্যধর্ম পৃথিবীতে সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করেন। গুরুনাথ ছিলেন তৎকালীন সংস্কৃতি পন্ডিত, একজন কবি, লেখক এবং আহোরিটলা বঙ্গ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তার জ্ঞানের গরিমা অসীম! গনিত, বিজ্ঞান , রসায়ন, ইতিহাস, ভুগল, ইত্যাদি বিষয়ে তার বুৎপত্তি অসাধারণ (মহাত্মা গুরুনাথের জীবন দেখুন) মহাত্মা গুরুনাথ ধর্ম সম্পর্কে যা যা বলেছেন সকল বিজ্ঞান সম্মত, তাই সত্যধর্ম বিজ্ঞান সম্মত ধর্ম। তিনি বৈজ্ঞানিকদিগের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে গ্রন্থ রচনা করেছেন যার মধ্যে উল্লেখ্য “তত্ত্বজ্ঞান উপাসনা" ঐ গ্রন্থে উপাসনা কি? কিসের উপাসনা? উপাস্য কে? ঈশ্বরের অস্তিত্ব কি? ঈশ্বর কি আছেন? ঈশ্বর এক নাকি বহু? ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ কি? ঈশ্বর সাকার না নিরাকার? ঈশ্বর সগুণ না নির্গুণ? উপাসক কে? জীবাত্মার অস্তিত্ব কি? মন্ডল, উদ্ভিদ, জীব,নর ইত্যাদি কিভাবে সৃষ্টি হলো? দীক্ষা কি? দীক্ষা দাতা কে? পরলোক কি এবং কোথায়? পূনর্জন্ম কি? সাধনা কি? অবতারবাদ, ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয় গুলো যুক্তিসহকারে প্রমান দিয়ে তুলে ধরেছেন যা জগতে বিরল! এছাড়া মহাত্মা গুরুনাথ লিখিত অনেক পুস্তক রয়েছে ধর্মশাস্ত্র, "সত্যধর্ম" "তত্ত্বজ্ঞান উপাসনা" " তত্ত্বজ্ঞান সাধনা" "নিত্যকর্ম" ইত্যাদি এবং উপন্যাস, পদ্য, গদ্য, ব্যাকারণ, জ্যামিতি ইত্যাদি ইত্যাদি।
0 মন্তব্যসমূহ