কল্পনা অর্থাৎ মিথ্যা। যারা ধর্ম্মকে কল্পনা বলে মানে তারাই কল্পিত ছবি মূর্তি ব্যাবহার করে তাতে পূজা আদি করে। সুতরাং মিথ্যা মাত্রই পাপোস্পর্শ হয় এটা জানার পরেও তারা সেই মিথ্যার শরণাপন্ন হচ্ছে। চারিদিকে তাই চলছে। যে বিশেষ জ্ঞানে সত্য বিদ্যমান তাকেই বিজ্ঞান বলে কেননা সত্য প্রতিষ্ঠা না হলে আবিষ্কার হয় না অতএব সত্য পথে চলা ধার্ম্মিকের কাজ। যে ধর্ম্মে সত্য নেই সেটা ধর্ম্ম হতে পারে না। যে ধর্ম্মে বিজ্ঞান নেই সেটা ধর্ম্ম হতে পারে না। চারিদিকে যে ধর্ম্মের নামে ধার্ম্মিক দেখি তা পরিষ্কার মিথ্যায় পরিপূর্ণ সত্যের সূত্র অনুযায়ী। গায়ের জোরে মিথ্যাকে আশ্রয় করে ধর্ম্মিক প্রতিপন্ন করে লাভ নেই। দেবদেবী প্রতি আস্থা রাখা সেটা সত্য ও ধার্ম্মিকের কাজ, কিন্তু আস্থার নামে কল্পিত মিথ্যা অবলম্বন করা ধার্ম্মিকের কাজ না। সে যে ধর্ম্মাবলম্বী হোক না কেন। কেউ আবার ধর্ম্মের নামে পার্থিব পাথরকে চুম্বন করে, সেটাও যে পূজার অন্তর্গত ও সাকার বাদ তাও তাদের বোধের বাইরে, কেননা মিথ্যা মোহজালে আচ্ছন্ন করে রেখেছে তারা আবার নিজেদের বড় ধার্ম্মিক প্রতিপন্ন করে। পাশের মোহজালে বেঁধে, কাম ক্রোধের চর্চায় মহিত করে কল্পনার আচ্ছন্নে পরলোকে নারী সুখের লোভে ধর্ম্ম করে এইরূপ নিকৃষ্ট সাকার ভাবে আসক্তেরা আবার নিজেদের নিরাকার বাদী বলে, এটাও মিথ্যাচার ও কল্পনার অন্তর্গত। ধর্মের কাজ অষ্টপাশ ষড়রিপুকে দমন পূর্ব্বক গুণের উন্নতি ঘটানো। স্থূল শরীর পঞ্চভূতে আবদ্ধ, আত্মা এই দেহ ত্যাগ করলে শরীরের অস্তিত্ব থাকেনা। যে ধর্ম্মে স্থূল সূক্ষ্মের ধারণা নেই তাদের সাকার ভাব থাকবেই। দেবদেবী সত্য অবলম্বন করে দেবত্ব অর্জন করেছেন অর্থাৎ গুণী হয়েছেন সে কি ঐ রূপ মিথ্যা মূর্ত্তিতে আসতে পারে নিশ্চয়ই না কেননা অন্যের ছবি এনে আপনাকে যদি বলি এটা আপনার ছবি আপনি মানতে পারবেন না তাহলে যে দেবদেবী সত্য অবলম্বনে আছে সে কি করে ঐ ছবি মূর্তিতে আসবে? ভাবের ঘোরে মিথ্যাচারকে সত্য করা যায় না। ধর্ম্মের মূল কাজ অজ্ঞানতা দূর করা। ধর্ম্ম অমানুষকে মানুষ করে। ধর্ম্মের কাজ সকলকে সত্যে প্রতিষ্ঠিত করা, কেননা ধর্ম্ম কথার অর্থ পথ সুতরাং সত্যের পথে চলাকেই ধর্ম্ম সাধন বলে। কিন্তু চারিদিকে মিথ্যা অন্ধকারের আচ্ছাদনে পুর্ণ হয়ে রয়েছে। শিক্ষা প্রকৃত সত্য বুঝতে সাহায্য করে।
হে করুণাময় পিতা সকলকে প্রকৃত জ্ঞানে আলোকিত করো। যাতে প্রকৃত সত্য বুঝতে পারে।
---আদিষ্ট নিরুপম।
0 মন্তব্যসমূহ