আমরা জন্মসূত্রে পাশবদ্ধ পশু, নিজের ভুল অন্যায়কে সহজ সরল ভাবে স্বীকার করতে পারাই মনুষ্যত্ব।কারন উপায় যখন আছে তাহলে পাপের বোঝা বাড়িয়ে লাভ নেই এটাই সচেতনতার পরিচয়। জন্ম জন্ম ধরে যারা গুণের অভ্যাস করে একটু স্রোতের বিপরীতে চলতে সমর্থ হয়; স্রোত বলতে কাম,ক্রোধ,লোভ,মদ, মাৎসর্য্য,কুল,শীল,জাতি, ঘৃণা, লজ্জা,ভয় ইত্যাদির পাশবিক তাড়না থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারে তারাই নিজের জন্য এবং অপরের জন্য কিছু করতে পারে, তাদের কর্মফলের মাধ্যমে থেকে যেতে পারে।সমস্ত কাজ তারা নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে করে তাই তার চারপাশের সুবিধাবাদিরা তার দ্বারা উপকৃত হতে পারে অথচ এই জ্ঞান থাকে না,যদি থাকতো তাহলে তাকে লাঞ্ছিত হতে হত না। অপরের উপকার ভিন্ন অপকার করব না এই আদর্শে তারা বদ্ধপরিকর হন। যেহেতু আমাদের মধ্যে তারা সংখ্যায় কম এইজন্য এরকম ধরনের ব্যক্তিত্বকে অবহেলার পাত্র হতে হয়। কিন্তু গুণ তো এমনই আজ না হয় কাল সমাদৃত হবেই।কারন সত্য অপরিবর্তনীয়। বুঝতে সময় লাগে।
পৃথিবীতে এমন কোন গুণী ব্যক্তি আছেন যিনি জগতের মঙ্গলে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন অথচ নিন্দিত, ঘৃণীত, লাঞ্ছিত, অবহেলিত,আহত অথবা নিহত হন নি ???
পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে এই সত্য কথা বলার কারনে গ্যালিলিও কে হেমলক বিষ দিয়ে হত্যা করা হয়।ব্রুন কে আগুনে পুরিয়ে মেরে ফেলেছিল ধর্মান্ধ,অজ্ঞান,মূর্খের দল।এখন সকলে প্রমাণ করেছে যে সত্যিই পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে এবং মানতে বাধ্য হয়েছে সেই সত্য।যে যত আগে বুঝতে পারে সে তত সৌভাগ্যবান।এর জন্য নিজের ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রয়োজন। পরমপিতা সুযোগ দেন,সময়ের সাথে সাথে করিয়ে নেন কিন্তু আমার চাওয়া সেই চাওয়ায় যদি প্রাণ থাকে তাহলে তাতে তিনি তাঁর গুণরাশি,স্নেহ প্রীতি উজার করে দেন। তিঁনি যে সত্যস্বরূপ অনন্ত গুণময় হয়ে আছেন এটা বুঝতে পারার জন্যও আবার তাঁর কৃপার সর্বত্র ভাবে প্রয়োজন।
অনেকে আবার কামের সুখ হারিয়ে ফেলার ভয় পায়।এখন এ বিষয়ে অনেক ডাক্তার বিশেষজ্ঞদের মতামত বহুল প্রচলিত।কামকে প্রেমে পরিণত করা অভ্যাসের মধ্য দিয়েই একমাত্র বৈবাহিক জীবন সুন্দর করা সম্ভব।সংসার জীবনকে আরও সুন্দর করাই ধর্ম্মের প্রকৃত উদ্দেশ্য।তাই সকলের উদ্দেশ্যে বলব মানব জন্মের সার্থকতা সম্পাদনে আপনারা সচেষ্ট হন।নারী পুরুষ নির্বিশেষে যে যে পেশার মানুষই হোন না কেন।তার ইচ্ছে শক্তি টাই আসল বাকি সব ভালো না হতে চাওয়ার অজুহাত।প্রেম বলতে চারপাশে সবাই যে মান, অভিমান চাওয়া পাওয়া বোঝে এরকম হিসাবের বিষয় নেই।সীমা পরিসীমাও নেই, অসীম অনন্ত প্রস্রবণ।কাম বলতে প্রেম লিখেছি নতুবা প্রেম নিয়ে কথা বলার মত যোগ্যতা আমার নেই।কারন আমি প্রেমিক নই।গুরুদেব সব লিখে রেখেছেন আমাদের জন্য।এই গুণে পরাকাষ্ঠা লাভ করতে হয়।অনন্ত প্রেমময় কে অভেদ করতে হয়। বিবাহের মূল উদ্দেশ্য প্রেম সাধনা।
0 মন্তব্যসমূহ