গুরুদেবের বাণী। Instructive words of Gurudev.


 
এই সচেতনতাই মূল বিষয় যে গুণ অর্জন করতে হবে গুণ অর্জনের জন্য পার্থিব বিদ্যার প্রয়োজন। গুরুদেব লিখেছেন পরাবিদ্যা অর্থাৎ আধ্যাত্মিকবিদ্যা বুঝিতে ও বুঝাইতে অপরাবিদ্যা অর্থাৎ পার্থিব বিদ্যার প্রয়োজন হয়। সুতরাং সত্যধর্ম্মাবলম্বীদের বারবার একটাই কথা লিখতে হচ্ছে পড়াশোনা করো, আর এটা বললে দেখি নিম্ন মস্তিষ্কের মানুষের মতো রেগে গিয়ে বলা শুরু করে দেয় প্রবর্তক গুরুকে, বিদ্রূপের সুরে উনি মহা পণ্ডিত হয়ে গেছে, আবার বলে খুব জ্ঞানী হয়ে গেছে, সবজান্তা ইত্যাদি ইত্যাদি কেননা এদের অজ্ঞানতার অন্ধকারে থাকতে অভ্যাস হয়ে গেছে বলেই এই পরিস্থিতি। "অজ্ঞানতা পাপের কারণ" এটা যে এদের মধ্যে স্থায়ী বাসায় পরিনত হয়ে বসেছে। সাকার জ্ঞান না থাকার জন্য কতগুলো পাপ হয় বসে আছে। হিন্দু ধর্ম্মে চারটি অবস্থাতে আবদ্ধ যেমন সাকার উপাসনা আছে, যোগ সাধন আছে, জাতিভেদ আছে নির্ব্বান অর্থাৎ ঈশ্বরের লিন হওয়া আছে, কিন্তু এই চারটি নিকৃষ্ট অবস্থা সত্যধর্ম্মে যে নেই এটা বোঝেনি এতদিনে। সত্যধর্ম্ম যে ইহলোকের ধর্ম্ম না, এই অজ্ঞানেরা এখনও বুঝতে পারেনি যে সত্যধর্ম্মাবলম্বীরা হিন্দু না। সাকার অবস্থা বোঝে না বলেই গুরুদেবের ছবি উপাসনায় ব্যবহার করে। এতে যে ঘোরতর পাপ হয়, তা বলা সত্ত্বেও বোঝে না। গুরুদেব লিখেছে "মিথ্যা মাত্রই পাপোস্পর্শ হয় জানিবে" তবুও বাড়িতে বাড়িতে ও জবরদখল করা জমিতে মন্দির বানিয়ে কল্পিত ছবি মূর্তি ব্যবহার করে, এটা কি ধরনের শিক্ষা? গুরুদেব গানে লিখেছেন মায়ার আশু প্রলোভনে মুগ্ধ হয় জনগণ, শেষে নরক পতনে দুঃসহ যাতন অর্থাৎ কল্পনার ছবি মূর্তিকে পূজা করে কেঁদে কেটে ভাসায় তা দেখে সকলে মুগ্ধ হয় তারা সকলেই নরকে বসবাস করছে। এই গান শোনার পরেও তা বন্ধ করছে না এ কি ধরনের শিক্ষা? গুরুদেব লিখেছে গুরু ভিন্ন কাহারো পূজা করিবে না তাহলে গুরুর পাশে ওইসব নিকৃষ্ট জঞ্জাল মিথ্যাচারে মূর্তি ব্যবহার কেন করা হচ্ছে? এটা কি ধরনের শিক্ষা? অসাধারণ ব্যাক্তি বলতে আদিষ্ট হন, যাঁহারা কোটি কোটি বৎসরের মধ্যে দুই একজন হন। তাহলে সাধারণের জন্য উপাসনা প্রণালী গুরুদেব রেখে গেছেন সেই রূপ ভাবে কেন উপাসনা হচ্ছে না? এই অজ্ঞানতার কথা বললে রাগ হয়? এটা কি ধরনের শিক্ষা ? না জেনে পাপ একরকম কিন্তু জানার পরেও যদি সেই অন্যায় করে তাহলে কতবড় ঘোরতর পাপ হয় তা বলাই বাহুল্য। গুরুদেবকে যে এরা বিশ্বাস ও ভক্তি করতে পারে না তার প্রমাণ দেওয়া হয়েছে বিশ্বাস প্রবন্ধ তুলে ধরে তাই এদের মধ্যে জলাতঙ্ক শুরু হয়েছে মূল কথা এরা পড়াশোনা ও জ্ঞানচর্চার ঘোর বিরোধী প্রমাণ হচ্ছে বারবার। আর সত্যের কাজ প্রমাণ দিয়ে উপস্থাপন করা, তা এখানে প্রতি মূহুর্তে করা হয়।


                                  --- আদিষ্ট নিরুপম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ