মহাত্মা গুরুনাথ সত্যের সাধক সৃষ্টের শ্রেষ্ঠ সন্তান সত্যধর্ম্ম আবিস্কারক। পৃথিবীর সমস্ত ধর্ম্ম সাকার বাদে পূর্ণ, সাকার বাদ মিথ্যা আর মিথ্যা মাত্রই পাপোস্পর্শ হয়। সত্যধর্ম্ম একমাত্র উৎকৃষ্ট ধর্ম্ম সুতরাং তাহলে পৃথিবীর সমস্ত ধর্ম্ম কি বুঝে নিন তাহলে। বিজ্ঞান সম্মত ভাবে তুলে ধরেছেন সত্যধর্ম্মের মুখবন্ধে ও প্রথম পরিচ্ছেদে এবং উপাসনা খন্ডে তার ব্যাখ্যা করা আছে। উপাসনা খন্ডে গুণকীর্তন প্রবন্ধে লিখেছেন মহাত্মা নারদের কথা, নারদ পরমপিতার একবার দর্শন লাভ করেন পুনরায় দর্শনের জন্য প্রার্থনা করেন পরমপিতার কাছে। পরমপিতার দৈববাণী রূপে জানায় তোমার মত "কুযোগীর" পক্ষে নিত্যদর্শন সম্ভব না। গুরুদেব এই সত্য তুলে ধরেছিলেন। ব্রহ্মা বিষ্ণু পরমপিতার দর্শন লাভ করতে পারেনি তা তিনি গানের মাধ্যমে লিখে গেছেন। কোন কোন মহাত্মা কোন কোন ভুল করেছিলেন তাও লিপিবদ্ধ করেছিলেন। আদিষ্টের কাজ সত্য তুলে ধরা, সেটাই তিনি করেছিলেন। কৃষ্ণের মৃত্যু কি কারণে হলো সেই সত্য তুলে ধরেছিলেন। যীশু খ্রীষ্টের ঐ পরিনতি কেন হলো সেই সত্য জানিয়েছেন। শ্রী রামচন্দ্রের কোথায় ভুল হয়েছিল তাও লিখে রেখে গেছেন। গুণী সাধকের গুণ তুলে ধরা ও দূষি সাধকের দোষ তুলে ধরা সত্য সাধকের কাজ। তিনি তাই করে গেছেন।
সত্য শুনতে যাদের ভালো লাগে না তাদের এসব বিরক্তি লাগবে কেননা তারা মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ তাই। এতেই প্রমাণ হয়ে যায় এরা গুরুদেবকেই বিশ্বাস করে না। আর বিশ্বাস করতে গেলে একত্ব প্রাপ্ত হতে হয় যে। উপরি উপরি মুখোশের আড়ালে নিজেদের উন্মোচিত করে বিরোধীতায়।সত্য পরায়ণ সত্য নিষ্ঠ ব্যক্তিদের এসব আনন্দদায়ক বিষয় হয়।
0 মন্তব্যসমূহ