আদিষ্ট চেনার উপায়।How to recognise Adista.


 আদিষ্ট চেনার উপায় হিসাবে গুরুদেব লিখে গেছেন, "ঈশ্বরাদিষ্ট পুরুষ নির্ণয় করা সুকঠিন নহে,কেননা "যাহাদিগের জীবন স্রোত একই ধর্ম্ম ভাবে প্রবলবেগে প্রবাহিত",*  তাঁহারাই ঈশ্বরাদিষ্ট, তদ্ভিন্ন অন্য ব্যক্তিরা ঈশ্বরাদিষ্ট নহেন।" যে ব্যক্তি গুরুকে সর্ব্বপরি রাখে, গুরু ভিন্ন কাউকে পূজা করে না, গুরুর প্রতি নিষ্ঠাবান,গুরুতে অচলা ভক্তি, সত্য পরায়নতা,যিনি ক্ষুধাহীন, তৃষ্ণা হীন ও নিদ্রাহীন অবস্থায় বহুদিন থাকতে সমর্থ তাঁকে নিশ্চয়ই আমরা প্রত্যক্ষ করতে পারি আপাত দৃষ্টিতে? প্রত্যয় মানে শোনা, এই সৌভাগ্য লাভ করতে গেলেও পূর্ব জন্মের সুকৃতি পেতে হয়।  কারো গুরু হবার উপযুক্ত গুণাবলী হয়েছে শোনা হল অর্থাৎ প্রত্যয় জন্মালো,যে ইনি আদিষ্ট হয়েছেন। প্রথমে শোনার পরে সেটা সহজজ্ঞানেই মেনে নিতে হয়‌। এ তো গেল নির্ণয়ের অবস্থা, এর পর ঐ সাধককে চিনতে গেলে অর্থাৎ বিশ্বাস করতে গেলে নিজেকে ঐ আদিষ্টের প্রতি নির্ভরতা রাখা অর্থাৎ প্রতীতি শুরু করতে হবে। এই নির্ভরতা তিন স্তরে বিভক্ত, যেমন নির্ভরতা শুরু করার পরে নির্ভরতার মাঝের অবস্থান ১)শতনির্ভরতা এই সময় দেবদেবীর দর্শন হয়, তারপর ২)গরীয়সী অবস্থায় পাশমুক্ত হয়ে সিদ্ধি প্রাপ্ত হয়, শেষে ৩)জাত নির্ভরতা,এই সময় ব্রহ্মজ্যোতি দর্শন হয়।  তারপর ব্রহ্মদর্শন হওয়ার পরে বিশ্বাসের পূর্ণতা হয় অবশেষে বোঝা যায় যে তিনি/গুরু ব্রহ্মদর্শী সাধক ও আদিষ্ট হয়েছেন সুতরাং এই বিশ্বাসের পর্ব পার না করলে কি করে গুরু অথবা আদিষ্টের প্রতি সন্দেহ দূর হবে? শুনলাম তিনি আদিষ্ট হয়েছেন এবার আমাদের উচিৎ  তাঁকে নির্ভর করে বিশ্বাসের পূর্ণতা পার করা অর্থাৎ একত্ত্ব প্রাপ্ত হয়ে বুঝতে হবে তিনি আদিষ্ট হয়েছেন, এটাই একমাত্র বিশ্বাস করার পথ তাছাড়া আর কোনও পথ নেই। - বিশ্বাস প্রবন্ধ।

এবার কেউ যদি একত্ব প্রাপ্ত না করে বলে আমি গুরুদেবকে বিশ্বাস ও ভক্তি করি, তাহলে সে মিথ্যা কথা বলছে তা একদম সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত হলো। 


                                        -আদিষ্ট নিরুপম।


    * এই কথার অর্থ গুরু হওয়ার উপযুক্ত গুণ সমূহে পরিপূর্ণ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ