সত্যধর্ম্মে সাকার উপাসনা নাই।


 এই সহজ কথাটি কেন এতদিন বোঝেনি? যারা যারা বুঝেছে তারা গুরুদেবের কাছে একত্ব লাভ করেছে। যেমন মহাত্মা নিবারণ, মহাত্মা সীতানাথ, মহাত্মা বলরাম ও মহাত্মা বৈকুন্ঠ। তার পরিবর্তে আর কেউ একত্ত্ব পেল না কেন? মহাত্মা নিবারণ মাতাজির কাছে প্রায় পাঁচ হাজার দীক্ষা গ্রহণ করেছিল ঠিক কিন্তু কেউ সমদর্শনে সিদ্ধি লাভ করতে পারেনি একত্ব ত দূরের কথা। ঐ মহাত্মাকে কেউ ভক্তি করতে পারেনি। আর ভক্তি ছাড়া একত্ব সম্ভব না। যাদের পাপ বোধ নেই তাদেরকে নিয়ে এসেছিল গুরুদেবের কাছে মহাত্মা নিবারণ। সেই মহাত্মা নিবারণ এর কাছে যারা যারা দীক্ষা নিয়েছে তাদের পাপ বোধ কতটা ছিল? পাপ বোধ থাকলে তারা একত্ব লাভ করবেই এটা চিরসত্য। যারা নিরাকার বোঝেনা, যারা সাকার ছবি মূর্তি ব্যক্তিতে আসক্ত তারা কি করে "সাকার উপাসনা নাই" বুঝবে? সাকার কাকে বলে পূর্বে একটা পোস্ট ছাড়া হয়েছে সেটা মনোযোগ সহকারে পড়লে ভালো হয়। দিনের পর দিন পাপের মাত্রা বাড়িয়ে গেলে নরকে যেতে হবে এখনো সময় আছে ঠিক করে নেওয়ার।


সাকার যাকে দেখা যায়, ছোঁয়া যায় ও ধরা যায় মূলকথা পঞ্চ ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য। যেমন কল্পনার মূর্ত্তিকে দেবদেবীর অস্তিত্ব উপস্থাপন করা আবার ঐ মূর্ত্তিকে সৃষ্টিকর্তায় পূজা করা। কতটা নির্বোধ নিরাকার ও সাকারের মধ্যে ভেদ বোঝে না। ভাবে বিজ্ঞান হয় না, সত্যে বিজ্ঞানের প্রমাণ হয়। সত্যধর্ম্ম বিজ্ঞান। মিথ্যাকে আশ্রয় করে ভাবের ঘোরে সব ধর্ম্ম পালন করে। সাকার বস্তু তার জন্ম আছে, স্থিতি আছে ও ধংস অর্থাৎ লয় আছে সে কি করে নিরাকার অদ্বিতীয় হয় এটা বোধহয় মাথায় ঢোকে না। কয়েকটা গুণের পারদর্শী হতে পারে কিন্তু একটি গুণের অনন্ত প্রাপ্ত সম্ভব হয় না সেখানে নিজেকে বা অপরকে মিথ্যা ভাবের ঘোরে অনন্ত অনন্ত অনন্ত গুণের অধিকারী উপস্থাপন করে। সাগরের একবিন্দু জলকণা বলতে পারে না আমি সাগর। উপমা স্বরূপ সাগর এখানে অসীম আর তার জলকণা পৃথক্ হলে সীমায় পরিনত হয়। সাগরের থেকে বিচ্যুত হওয়ার পরে ঐ ক্ষুদ্র জলকণার সাগরের অসীম শক্তি গুণ খর্ব্ব হয় এবং শক্তি গুণ সীমায় পরিনত হয় সে কখনও ঐ অসীম শক্তি বলতে পারে না। তেমনই পরমপিতা থেকে আমরা সৃষ্টি হয়েছি আমরা বলতে পারি না আমরা সৃষ্টিকর্তা। স্থূল অস্তিত্ব নাম ধারি যেই হোক সে রাম, শ্যাম, খৃষ্ট ইত্যাদি ইত্যাদি কেউ পরমপিতা নয়। এক একজন একটি অনন্তের ক্ষুদ্র কনিকা স্বরূপ গুণে অধিকারী হয় মাত্র।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ