গুরুদেবের সামনে বসে পরমপিতার উপাসনা করা উচিৎ না।


 দীক্ষা দাতা উপাসনায় সাহায্যকারী। আমি যাতে ঠিক মত উপাসনা করতে পারি। তিনি সাহায্য করতে পারেন কখন? যখন আমি তাঁর উপদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে পারব। সত্যধর্ম্মে সাকার উপাসনা নাই, তাহলে গুরু ত সাকার তাঁকে সম্মূখে রেখে কি ভাবে নিরাকারের উপাসনা করব? গুরুদেব তো বলেছেন গুরু পূজা সূক্ষ্ম ভাবেই করতে হয় তাহলে পরমপিতা নিরাকার, তাঁর উপাসনা করব সাকার গুরুদেব কে সম্মূখে রেখে। একাগ্রতা ছাড়া উপাসনা হয় না। উপাসনা চলাকালীন গুরুর কথা চিন্তা করা মানে একাগ্রতা ভঙ্গ অতএব পাপ। যারা সাকারে আসক্ত তারাই এই পাপে লিপ্ত হবে। সবাইকে অনুরোধ করছি এই মহাপাপ থেকে নিজেকে দূরে সরান, যদি উন্নতি চান। গুরুদেব স্বশরীরে থাকাকালীন তিনি বসতেন আর সবাইকে তাঁর দিকে মুখ করে কি উপাসনা করিয়েছিলেন? নিশ্চয়ই না তাহলে এত মূর্খতামীর কাজ হলো কেন? এই অমূল্য রত্নকে আমরা যত্ন করতে পারিনি। যদি নিরাকার রত্নকে যত্ন করতে পারতাম তাহলে সত্যধর্ম্মে এতদিনে বহু একত্বপ্রাপ্ত সাধক দেখতে পেতাম।


বিঃ দ্রঃ সত্যধর্ম্মের নিয়ম ও গুরু উপদেশের বাইরে কোনো কথা এখানে চলবে না এটা যেন মনে থাকে। পরম্পরার দোহাই দিয়ে কথা লিখলে চলবে না। অজ্ঞানতা পাপের কারণ।


                                      - আদিষ্ট নিরুপম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ