গুরুদেব সাকার, তিনি পরব্রহ্ম বা সৃষ্টিকর্তা নন।


আর কতদিন অজ্ঞানতার অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকবে? অঙ্ক করতে গিয়ে ইতিহাস বই নিয়ে বসলাম তাতে কি অঙ্ক করা হবে? নিশ্চয়ই না। এই সামান্য কথা লিখতে হচ্ছে কেন এখনো? যেখানে সবাই নিজেদের আধুনিক জ্ঞান বর্ধিত সমাজের অংশ বলে মনে করে। যারা নিজেদের সত্যধর্ম্মাবলম্বী মনে করে, হায়! তারা দেখি সত্যধর্ম্মের মূলকে উপড়ে ফেলে জ্ঞানান্ধ হয়ে ধর্ম্মের কথা বলে। সত্যধর্ম্মের মূল "সাকার উপাসনা নাই" এই সহজ কথা বলতে হচ্ছে এখনো !!! আমরা সত্যস্বরূপের সন্তান কি করে বলবো? গুরুদেব পুনঃ পুনঃ সাবধান করেছেন গুরুকে পরমপিতার আসনে বসাবে না এতে ঘোরতর পাপে নরকগামী হতে হবে কিন্তু হায় কি অবস্থা!! উপাসনার মূলকে বাদদিয়ে উপাসনা হবে কি করে? পরমপিতা নিরাকার আর গুরুদেব স্থূল সাকার, এই দ্বন্দ মগজে প্রবেশ করেনি এখনও??? তাই তো গুরুদেব লিখতে বাধ্য হয়েছিলেন "সাকার আর নিরাকার দ্বন্দেতে পোড়া সংসার" আর কতদিন চলবে অজ্ঞানতার পরিচয় দেওয়া??? গুরু পূজা সূক্ষ্ম ভাবেই প্রধান, সেখানে গুরুদেবের ছবি পর্য্যন্ত রাখা যায় না তাহলে সেই গুরুদেবের ছবি বসিয়ে উপাসনা করা? সত্যধর্ম্ম একমাত্র ধর্ম্ম যেখানে উন্নতি মাত্র কয়েক বছরেই সম্ভব, এত সহজ উন্নতির পথকে কলুষিত করে সুদূর প্রসারী করে ফেলেছে। এখনও সময় আছে এই ভিমাকার পাপের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই করাল কবল থেকে উদ্ধার করে পবিত্র ভাবে নিজেকে উপাসনায় নিমগ্ন করো।

বিঃ দ্রঃ সবার কাছে অনুরোধ জানাই সত্যধর্ম্মের মূলকে (সাকার উপাসনা নাই) পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। সবাই যাতে বুঝতে পারে এরা নিরাকারের উপাসক। গুরুদেব বা অন্যান্য ছবি না রেখে উপাসনা বা উৎসব অনুষ্ঠিত করা। উপাসনার সাহায্যের জন্য গুরু আহবান তা সূক্ষ্মভাবেই সম্পন্য করতে হবে। উপাসনার মধ্যে গুরুর চিন্তা সাকার বাদে পাপ হয় মনে রাখতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ