সত্যের কাজ।







 চারিদিকে মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ। মানুষ ভাবে এক করে এক এবং বলে আরেক রকম।কায়ে মনে বাক্যে সত্যকে অবলম্বন করতে পারাই গুণের বিষয়। পৃথিবীতে যত সাকারবাদ ধর্ম্ম আছে সেখানে কিঞ্চিৎ সত্য আছে বাকিটা মিথ্যা।সেই মিথ্যা পথকে ধারন করে জন্ম জন্ম অতিবাহিত হচ্ছে। সত্যধর্ম্মে কেবল সত্য স্বরূপ পরমপিতা সেই সৃষ্টিকর্তাকে জানার কৌশল দেওয়া আছে। সত্যতায় পরিপূর্ণ না হলে সেই নিয়মের অভ্যাস করে ব্রহ্মদর্শন করা যেত না, বহুবিধ সিদ্ধি অর্জন হত না,এখানেই সত্যধর্ম্মের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমান।কোন ব্যক্তি চাইলে পরীক্ষা করে নিতে পারেন যে জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত সত্যকে কায়ে মনে বাক্যে অবলম্বন করলে সেই‌ সিদ্ধিগুলোর ক্ষমতা তৈরি হয় কিনা। সিদ্ধি বলতে কোন গুণ সাধ্যের মধ্যে আসা। মৃতপ্রায় কে আয়ু দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা,দূরের বিষয় দেখতে পাওয়া, দূরের শব্দ শুনতে পারা,এক জায়গায় থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার ক্ষমতা,অন্যের পাপ গ্রহণ করার ক্ষমতা,কারোর রোগ সারিয়ে দেওয়া, সন্তান হোক সেই আশির্বাদ করা,কাউকে আগে থেকে জানিয়ে তাকে স্বপ্নে বা স্বাভাবিক ভাবে দর্শন দিয়ে আসা, আত্মআকর্ষণ দ্বারা পারলৌকিক মহাত্মাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার ক্ষমতা, অষ্টপাশ ষড়রিপু নিয়ন্ত্রণ অর্থাৎ পঞ্চ ইন্দ্রিয়কে বশীভূত রাখার ক্ষমতা,অভেদ জ্ঞানে দীক্ষা বীজ প্রদান করার উপযুক্ত গুণাবলী সম্পন্ন হতে পারা,সবরকম বিপদ থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা ইত্যাদি ইত্যাদি গুণ সেই সাধকের সাধনার ফলস্বরূপ অর্জিত হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ