সাকারবাদ মিথ্যা।কেন মিথ্যা?


 ছিল আছে এবং চিরকাল থাকবে, নিত্য অর্থাৎ অনন্তকাল অবিনশ্বর ভাবে অবস্থান করবে তা একমাত্র গুণ যার অনন্ত বৈশিষ্ট্যের বহিঃপ্রকাশ এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড।কয়েকশ কোটি গ্যালাক্সি রয়েছে যার মধ্যে আরো শতকোটি গ্রহ নক্ষত্রের মধ্যে সূর্য নামক নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ৯ টি গ্রহ নিয়ে সৌরজগত সৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যে ছোট একটি গ্রহ পৃথিবী।এই পৃথিবীর মধ্যে প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের মধ্যে আমরা একজন আর বাকি প্রায় ৬০% অনুজীব এর অস্তিত্ব তো খালি চোখে দেখাই যায় না।হাতে গোনা কয়েকটি উদ্ভিদ বা প্রাণীদের আমরা জানি।এই জানার বাইরেও বিপুল বৈচিত্র্যময় সৃষ্টি রয়েছে।এই সবের মূলে যিঁনি রয়েছেন তিনি অনন্ত অনন্ত অনন্ত গুণময় পরমপিতা পরমেশ্বর।গুণ যেহেতু নিরাকার তাই সৃষ্টিকর্তা নিরাকার।৮০০ কোটি মানুষের মধ্যে একজন ব্যাক্তি সে নারী হোক বা পুরুষ যদি তিনি গুণ অর্জন করেন তাহলে কতটাই বা গুণী হতে পারবেন যে তাকে সৃষ্টিকর্তা বলা যাবে ? শ্রষ্ঠা এবং সৃষ্টি আলাদা বিষয়। সৃষ্টিতে শ্রষ্ঠার বৈশিষ্ট্য থাকে কেবল। সাকারবাদ এই কারণে মিথ্যা কারন একজন স্থূল দেহধারী মহাত্মাকে পরমেশ্বর মনে করা হয়।যেমন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা কৃষ্ণকে পরমপিতা, পরমপুরুষ আদি অন্তে তিনি আছেন এমন কল্পনা করেন। হরিচাঁদ ঠাকুর তাকে পূর্ণব্রহ্ম বলা হয়।এ জগতে সবাই অপূর্ণ, ভগ্নাংশ আকারে থাকে।একমাত্র পরমপিতা তিনি পরিপূর্ণ এবং অখন্ড। পৃথিবীতে যত ধর্ম্ম মতাবলম্বী আছে তাদের মধ্যে উপাসনা সাধনা অর্থাৎ গুণকে আত্মার আভরণ করার উপায় বা পদ্ধতি বলা নেই যা না হলে মুক্তি সম্ভব না। মুক্তি বলতে পরমেশ্বর এঁর অনন্ত গুণের কোন একটিতে তাঁকে উপলব্ধি করা, ব্রহ্ম জ্যোতি দর্শন করা। আমাদের মধ্যে আমিকে খোঁজার যে চেষ্টা জন্ম জন্ম ধরে চলতে থাকে তার রহস্য বুঝতে পারা,তাঁর গুণের কাছে আমরা যে অতি ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর ধূলিকণার মত এই সত্য বুঝতে পারা।এটা সাকার বাদে সম্ভব না কারন আমাদের অন্তরে বাহিরে সত্য স্বরূপ সৃষ্টিকর্তা রয়েছেন তাই মিথ্যাকে অবলম্বন করে সত্যকে উপলব্ধি করা যায় না।প্রতিটি গুণের যে বৈশিষ্ট্য ব্যাক্তিভেদে তার তারতম্য হলেও তার সংজ্ঞা কিন্তু কখনই পরিবর্তন হয় না।যেমন ভয়ে ভয়ে ভালোবাসাকে ভক্তি বলা হয়।এর বাইরে ভক্তি গুণকে বিশ্লেষণ করা যায় না।প্রেমে চাওয়া পাওয়া থাকে না,মান অভিমান থাকে না, নিঃস্বার্থ হতে হয়। প্রেমিক হতে গেলে এই সূত্রকেই অভ্যাস করতে হবে।এই বিশ্বপ্রকৃতিতে অনন্ত গুণ এই নিয়মেই শৃঙ্খলিত রয়েছে যে স্থিতিশীলতা পরিবর্তনে সবকিছু মূহুর্তে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।এই ইউভার্সের কোন ছোট অনু পরমানুর স্থান পরিবর্তনে বিরাট কিছু হয়ে যেতে পারে তাই সমস্ত কিছু তাঁর নিয়মে আবদ্ধ থাকে।সেই নিয়মই গুণ,গুণই ঈশ্বর এবং অনন্ত গুণের সমষ্টি পরমেশ্বর।

কোন স্থানে যাওয়ার আগে যদি কল্পনা করা হয় জায়গাটা কেমন দেখতে হবে।কখনই তার পুঙ্খানুপুঙ্খ ধারনা করা সম্ভব না। আমাদের শরীরে তেমন কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নেই যে কল্পনা করলে ত সত্যিই বাস্তবে তেমন হবে।। উন্নত মহাত্মাগণ কয়েকটি বিশেষ সাধনা করে দূরের জিনিস দেখতে পান।সেই দূরদর্শণময়ী অবস্থা কিন্তু কল্পনা নয়। সাধনার ফল বা সিদ্ধি। তারজন্য পরমপিতাকে বিশেষ ভাবে অনন্তভাবে জানতে হয়। আমাদের গুরুদেব যিঁনি এই গুরু কুলের শ্রেষ্ঠ, পরমপিতার শ্রেষ্ঠ সন্তান কারন তাঁকে পাওয়ার পথের আবিষ্কারক তিনি।এই সিদ্ধি অর্জন করে দেখিয়েছেন যা উন্নতির চরম সীমার প্রমান রাখে। বর্তমান আমাদের প্রবর্ত্তক গুরু।যিনি গুরু হওয়ার উপযুক্ত সমস্ত সিদ্ধি প্রমান সহ দেখিয়েছেন এবং ব্রহ্ম দর্শন করে সেই মুক্তির পথ পৃথিবীবাসীকে জানার সুযোগ করে দিয়েছেন এই দুরদর্শনময়ী সাধনায় তিনি পারদর্শীতা দেখিয়ে আমাদের এ জীবন গুরুকৃপাময় করেছেন।এটা যে সম্ভব তার চাক্ষুষ প্রমাণ পাওয়া বাকি রয়ে যেত যদি না এভাবে তার সান্নিধ্য না পেতাম।তাই উচ্চস্বরে দৃঢ়তার সহিত বলছি সমস্ত সাকারবাদ পূর্ণ ধর্ম্ম মিথ্যা কারন গুণ যে নিরাকার এই সত্যকে স্বীকার না করলে সব বিফলে যায়।

প্রথমত ক্যামেরা দিয়ে তোলা হয়নি,তাকে সামনে বসিয়ে রেখে কোন দক্ষ শিল্পী দ্বারা সেই দেব বা দেবীর ছবি বা মূর্তি বানানো হয়নি।তার চেহারার সাথে কোন মিল নেই। তাকে ওই কল্পিত ছবিতে পূজা করায় কোন সত্যতা নেই।আবার তাকে যদি পরমপিতার সাথে তুলনা করা হয় বা মনে করা হয় যে ওভাবেই ঈশ্বর লাভ হয় তাহলে কেমন পাপ হতে পারে এটা ভেবে দেখার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি।গুরুদেব বলেছেন,কল্পনা মাত্রই মিথ্যা, মিথ্যা মাত্রই পাপস্পর্শ হয় কারন আমরা সত্য স্বরূপের সন্তান। আমাদের সৃষ্টিকর্তা একজনই।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ