যে গুণ দ্বারা একটি পদার্থ লক্ষ্য করা যায় বটে।যারা একত্ব লাভ করতে যাচ্ছে,তাদের জন্য প্রথমে কোন একটি গুণের প্রতি যদি কোন সাধক বা সাধিকা পরমপিতার কোন একটি গুণ যেমন হতে পারে ভক্তি বা প্রেম জ্ঞান,সত্য,দয়া,সরলতা,শ্রদ্ধা,কৃতজ্ঞতা ইত্যাদি।প্রথমে কোন একটি গুণে লক্ষ্য স্থির করতে হয় যদি সত্য গুণের প্রতি একাগ্রতা অভ্যাস করা হয় তার মানে সেই সাধক বা সাধিকা জন্ম জন্ম ধরে মিথ্যা প্রবঞ্চনা ভালোভাবে জেনে সেগুলোর প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে মিথ্যা ত্যাগ করার সাধনায় ব্রতী হয়ে সত্য গুণের প্রতি একাগ্র হয়। মিথ্যার সীমা আছে, সত্য কিন্তু অসীম।যখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তখন তৈরি হয় চেতনা বোধ যা থেকে সত্যের দিকে এগোনো। মিথ্যা সহ্যের বাইরে চলে গেছে যে সাধকের তিনি সত্য গুণে পরমপিতাকে লাভ করতে উদ্যত হয়েছেন।প্রথমে কোন একটি গুণে মন যাইয়া থাকে বটে, কিন্তু পরিশেষে অপর পদার্থও অগোচর থাকে না অর্থাৎ সত্য গুণে পরমপিতাকে লাভ করতে গিয়ে ভক্তি চলে আসছে,দয়া চলে আসছে,প্রেম থাকে। অবশেষে অপর পদার্থেও মন যায় কারন অন্যান্য গুণগুলো ওই সত্য গুণকে ধারন করে রাখায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সত্যের সূত্র দিয়ে তিনি অঙ্ক করছেন কিভাবে সত্যকে তিনি ভেতর থেকে উপলব্ধি করতে পারছেন। সত্য গুণটির মধ্যে অনন্ত অনন্ত অনন্ত গুণ বিদ্যমান। একটিমাত্র পদার্থকে অবলম্বন করে মন স্থির থাকে।কেউ ক্ষমা গুণে একত্ব লাভ করেছে,কেউ বীর গুণে একত্ব লাভ করেছে তাহলে সেখান থেকে শুরু তার।প্রথমে একটিমাত্র পদার্থে মন স্থির করতে হয় অর্থাৎ একটি একত্ব পাওয়ার পর ওই গুণের প্রতি মন স্হির থাকে।বাহ্য জ্ঞান শূন্য হওয়ায় অপর পদার্থে মন যেয়ে থাকে।তিনি সত্যময় হয়ে থাকেন তখন অন্য পদার্থে মন যায় না। সত্যের মধ্যে যে অনন্ত গুণগুলো আছে তা সেই সাধকের অগোচর হয়না,চর্চায় থাকে। ওইগুলো না থাকলে সত্য পরিপূর্ণ হবে না।"নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কদাচ লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়না বটে, কিন্তু আনুসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় সম্পাদিত হয়। অর্থাৎ ওই সত্য গুণের জন্য তার মধ্যে অন্যান্য গুণের আসা শুরু হয়ে যায়।বাড়তে থাকে।যে গুণ দ্বারা বহু পদার্থ বা অনন্ত পদার্থ এক বলিয়া প্রতিয়মান হয় তখন মনে হয় তিঁনি সত্য স্বরূপ। সত্যের মধ্যে অনন্ত গুণ বিদ্যমান তাই তিঁনি এক এবং অদ্বিতীয়। এভাবে ধ্যান করা যায়।যারা একাগ্রতা লাভ করেছে তাদের এই বৈশিষ্ট্য হবে।এই একাগ্রতা গুণের যে সূত্র তার মধ্যে থাকতে হবে। একাগ্রতা যদি না হয় তাহলে এভাবে সেই গুণের বিশ্লেষণ সম্ভব না।যারা একত্ব লাভ করে তাদের চিন্তা ভাবনার প্রকাশ। কিন্তু সাধারণ ভাবে একাগ্রতা বললে অতি জটিল হয়ে দাঁড়ায়। সত্য গুণের প্রতি যদি একাগ্রতা না হয় তাহলে সেই গুণে একত্ব লাভ করা যায় না।তেমনি বাকি গুণের জন্যও একই নিয়ম। একাগ্রতার সূত্র ছাড়া কোন কিছু সম্ভব না। একাগ্রতার সূত্র ছাড়া কোন গুণে একত্ব লাভ সম্ভব না।
- Home
- সত্য ধর্ম্ম গ্রন্থ
- সংবিধান
- দীক্ষার্থি
- _দীক্ষার্থির আবেদন পত্র
- _দীক্ষার্থির নাম
- আবেদনপত্র
- _সদস্যপদের আবেদন
- _সদস্যপদের পুনঃনবীকরণ
- _উৎসবের জন্য আবেদন
- শাস্ত্রপাঠ
- প্রচার
- _সত্য প্রচার
- _সত্য-ধর্ম্মের মূল উদ্দেশ্য--
- _প্রশ্নোত্তর পর্ব
- _-
- সত্য-ধৰ্ম্মের বাণী
- _গুরুদেবের বাণী
- _ঈশ্বর নিবারণের (মাতাজী) বাণী
- _আদিষ্ট নিরুপমের বাণী
- _শ্রীমতী "ম" এর বাণী
- _মা আদরমণির বাণী
- _অন্যান্য মহাত্মাদিগের বাণী
- উৎসব
- _শ্রাবণোৎসব
- _শিশিরোৎসব
- _শরদূৎসব
- _মিলনোৎসব
- _মধূৎসব
- _বসন্তোৎসব
- _জন্মোৎসব
- বিশেষ অনুষ্ঠান
- _মহাত্মা মহিমচন্দ্র ও নিবারণের আবির্ভাব
- _সত্যধর্ম্ম প্রকাশ দিবস
- _মহাত্মা মহিমচন্দ্রের তিরোধান
- _মহাত্মা মহিমচন্দ্রের তিরোধান
- _মহাত্মা নিবারণের তিরোধান
- _মহাত্মা গুরুনাথের তিরোধান
- _মহাত্মা আদরমণির তিরোধান
- _মহাত্মা আদরমণির আবির্ভাব
- _অষ্টপ্রহর গুণকীর্ত্তন
- _-
- গুরুপূজা
- _গুরু আরাধনা
- _গুরুবরণ
- _গুরুপ্রসঙ্গ
- ছবি
- _মহাত্মাদের ছবি
- _উন্নত সাধক সাধিকার ছবি।
- _ক্যালেন্ডার
- অনুক্রম
- _ দৈনিক উপাসনা
- _সাপ্তাহিক উপাসনা
- _উপাসনা প্রণালী
- _উৎসব নির্ঘন্ট
- Contact
- _Join Telegram Channel
0 মন্তব্যসমূহ