সমদর্শন সাধনার প্রথম সোপান।


 মহাত্মা গুরুনাথের কাছে নিম্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে যারা সমদর্শন সাধনা শুরু করেছিলেন, তাদের মধ্যে মাত্র একজন ব্যক্তি সিদ্ধি লাভ করেছিলেন, তিনি হলেন মহাত্মা নিবারণ মাতাজী। কেননা যাদেরকে মহাত্মা নিবারণ গুরুদেবের কাছে নিয়ে এসেছিলন তাদের পাপবোধ ই ছিল না সুতরাং তারা কি করে সমদর্শনে সিদ্ধি লাভ করবে? 


পরবর্তীতে মহাত্মা নিবারণ মাতাজীর কাছে যারা দীক্ষা লাভ করেছিলেন তারা কেউ সমদর্শনে সিদ্ধি লাভ করতে পারেনি তাই তিনি বলেছিলেন "আমার খেতে ভালো ফসল হয়নি"। 


এবার বোঝা যাচ্ছে ? মহাত্মা নিবারণ চলে যাবার পর থেকে এতদিন,সত্যধর্ম্মে তারাই হর্তাকর্তা হয়ে কাজ করেছে যাদের পাপ বোধ ই নেই সুতরাং তারা,কল্পিত ছবি মূর্তি অবলম্বনে যে পাপ হয় তা বুঝবে কি করে? গুরুদেব "উপাসনা গ্রন্থে" লিখেছেন ঐ সব কল্পিত ছবি মূর্তি ফেলে দিতে‌। "ধর্ম্মার্থীর কর্ত্তব্যে" লিখেছেন ওগুলো অধমকল্প অর্থাৎ অধমের কল্পনা বা নিম্নশ্রেণীর কাজ। সমদর্শন সাধনায় সিদ্ধ হলেই পাপ ত্যাগ করে গুণ অর্জন করার শক্তি জন্মে এবং সাধক "ক্ষুধা হীন, তৃষ্ণা হীন ও নিদ্রাহীন অবস্থা" লাভ করতে সমর্থ হন কিন্তু তা ত দূরের কথা‌। তাহলে তারা কি করে সত্য পালন করেছে এতদিন? তাই ত সত্যধর্ম্মের মধ্যে এত বিভাজন হয়েছে। এরা পাপ হতে মুক্তির জন্য কীর্তনে নাচবে না? পাপ হওয়াটা তো তাদের কাছে আনন্দের বিষয় তাই তো নাচে। তাতে যে ঘোর পাপ হয় বুঝবে কি করে? কি আনন্দ! "আমার পাপ হয়েছে" বলে বলে... তারা নিরাকার পরম পিতার উপাসনা কি করে করতে হয় জানবে কি করে? তাইতো এত অরাজকতা। গুরুদেব এবং তাঁর সাথে আরো অন্যান্য ছবি রেখে উৎসব উদযাপন হচ্ছে এতে যে ঘোর পাপ হচ্ছে কি করে বুঝবে এরা? "সত্যধর্ম্মে সাকার উপাসনা নাই, যোগ সাধন নাই, জাতিভেদ নাই ও নির্বাণ অর্থাৎ ঈশ্বরে লীন হওয়া নাই"। এই চারটি অবস্থা হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মে আছে । সত্যধর্ম্ম হিন্দু ধর্ম নয় এটা বোঝার শক্তিও এদের নেই। তাই তো এতদিন এই ভুল করে গেছে। এই ধর্ম্ম পারলৌকিক প্রধান। ইহলোকের কোনও ধর্ম প্রণালীর মধ্যে পড়ে না,এই জ্ঞানটুকুও নেই। অজ্ঞানতা পাপের কারণ এরা বুঝবে কি করে? যতদিন এরা অজ্ঞান থাকবে এদের পাপ হতেই থাকবে। এদের সাধারণ জ্ঞান নেই যে গুরুদেব যে যে বিষয় লিখে গেছেন,তা আমাদের অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে, না করলে পাপ হবে, কেননা তাঁকে গুরু বলে সম্মোধন করছি তো!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ