গুরুপূজায় গুরু ধন্যবাদ।


 

গুরু পূজায় গুরু ধন্যবাদ।

গুরু ভক্তি প্রভাবেই ঈশ্বর ভক্তিতে সমর্থ হও। গুরুকে হৃদয়ে ধারণ করে রাখতে বলেছেন গুরুদেব। "ধন্য ধন্য ধন্য নাথ হৃদয় আনন্দকারী, দুঃখবিষ নাশি সুখ সুধা দেও সুতগণে তোমারি।" এখানে তিনবার ধন্য ব্যবহার হয়েছে কারণ প্রথম 'ধন্য' স্থূল, দ্বিতীয় 'ধন্য' সূক্ষ্ম ও তৃতীয় 'ধন্য' কারণ সুতরাং এই পথে তিনি হৃদয়ে আসীন থেকে আনন্দের সাথে নিয়ে যাবেন, তাতে দুঃখরূপ বিষ নাশ করে সদা গুণ সুখের মধুসুধা দিয়ে ভরিয়ে দিচ্ছ তোমার সন্তানদের।



 "তুমিই শিবের শিবতা কারক, তুমিই গৌতমে বুদ্ধত্ব দায়ক, চৈতন্যে চৈতন্যশক্তি গুণে নাথ তোমারি।।" অর্থাৎ তুমি প্রতি মূহুর্ত আমাদের শুভ কামনায় ব্যাস্ত, তুমি প্রতি মূহুর্তে সত্য বোঝার জন্য বুদ্ধি প্রদান করছ এবং আমাদের প্রকৃত চেতনা শক্তি প্রদান করছ তোমারি গুণে। কেননা তুমি ঐ গুণে পরমপিতাকে পেয়েছ তাই আমাদে প্রতি মূহুর্তে সাহায্য করছ। তাই তুমি ধন্য অতএব আমরাও ধন্য।

             ব্যাখ্যা - আদিষ্ট নিরুপম।

বিঃদ্রঃ গুরুদেব দুটি ধন্যবাদ লিখেছেন একটি পরমপিতার ও একটি গুরুপূজার নিমিত্ত। যা এতকাল বোঝেইনি। পরমপিতার ধন্যবাদে লিখছেন গুরুদেব "ধন্য ধন্য ধন্য নাথ জগত উদ্ধারকারী। এই জগত সৃষ্টি করেছেন পরমপিতা আবার তিনিই উদ্ধার করবেন। ইত্যাদি। কিন্তু গুরুপূজার ধন্যবাদে পার্থিব ভাব বর্ত্তমান। কেউ এতদিন ভাবতেও পারেনি যে গুরুদেব উপাসনা প্রণালী অনুরূপ গুরুপূজার সমস্ত গান রচনা করে রেখে গেছেন। যা আবিস্কার হয়েছে ১০০ দিনের অধিবেশনে। তাই এক এক করে তুলে ধরা হচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ