তোদিকে হেরি সুখে ভরা।



"তোদিকে হেরি সুখে ভরা
আমি আনন্দ নাশিবারে আসি নাই জানিবি তোরা।
যা'তে এ আনন্দ বৃদ্ধি , হয় তোদের চিত্ত শুদ্ধি,
আমি তারই তরে এই বুদ্ধি,করিয়ে এসেছি ধরা।
না ঘটিবে আধিব্যাধি,সুখে র'বি নিরবধি,
সে যে সুমঙ্গলময় বিধি,স্বকরমে বাঁচা,মরা।
দেহে কর আত্মজ্ঞান,শুক্তিতে মুক্তার ভান,
দূরে যাবে এ অজ্ঞান,স্বর্গ হ'বে এই ধরা।"

ব্যাক্তিভেদে সুখের সংজ্ঞা পরিবর্তীত হয়,কেউ কামের চর্চায় সুখ পায়,কেউ ক্রোধের চর্চায়,কেউ বা লোভ,কেউ মদ মত্ত হয়ে সুখ পায়, কেউ আবার মাৎসর্য্য অর্থাৎ পরশ্রীকাতরতা, অপরের শ্রী বৃদ্ধিতে ঈর্ষা করে ইত্যাদি ভাবে সুখ পায়।
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ গুরু,এই জগতের সার্বিক মঙ্গল কামনায় এবং কার্যে যিঁনি সদা নিয়োজিত, প্রকৃত সুখের সন্ধানের আবিষ্কারক ঈশ্বর গুরুনাথ সেনগুপ্ত, আমাদের পরমারাধ্য গুরুদেব একটি গানে বলেছেন,"সুখ সুখ সদা চাহ, সুখের তত্ত্ব নাহি লহ,দুখময় সুখ বহ,লভিলে না সুখ জীবনে"। আমরা প্রত্যেকে সুখী হতে চাই কিন্তু পার্থিব স্বার্থে মনের যে ক্ষণস্থায়ী সুখ অনুভব হয় তার পেছনে ছুটি,গুণ অর্জনে আত্মার‌ যে সুখময় অবস্থা হয় পাশের তাড়নায়, নিজেদের কর্মদোষে তা থেকে প্রায়শই বিচ্যুত হয়ে পড়ি। সুখী হওয়ার প্রধান উপায় অনাসক্তি এবং ত্যাগ।ত্যাগে যে সুখ লব্ধ হয় তা কেবল সেই ব্যাক্তিকেই নয়,তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশকে সমৃদ্ধ করে।

কোন গুণী ব্যাক্তি যেমন বৈজ্ঞানিক,শিল্পী,শাস্ত্রকার, দার্শনিক,সাহিত্যিক,সমাজ সংস্কারক প্রমুখ ব্যাক্তিবর্গ তাদের জীবনের কিছু বিষয় ত্যাগ করেন এবং তাদের শুভ উদ্দেশ্যে সমগ্র পৃথিবী প্রজন্মের পর প্রজন্ম উপকৃত হয়।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ