বর্তমান বিশ্বাসের পরিণতি।

 প্রথমেই বিশ্বাস হয় না, কিঞ্চিৎ সহজ জ্ঞান সহ কারোর বিষয়ে জানা, তারপর দেখা,তার বাক্য অনুরূপ কার্য্য করা এবং সেই কর্মের ফল পাওয়া এই পর্যায়ের বারংবার আবর্তন ইত্যাদি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রত্যয় প্রতিতি জন্মে পরিশেষে বিশ্বাস হয়।বিশ্বাসের ভিত মজবুত না হওয়া পর্যন্ত তা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।যেমন ব্রহ্মদর্শন না করলে গুরুকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস হয় না। পরমেশ্বর এঁর অস্তিত্ব সম্পর্কে পরিপূর্ণ বিশ্বাস এবং ভক্তিতে সংশয় থাকে না।


একটা প্রচলিত কথায় আছে যে, মাঝে মধ্যে নিজের জীভকেও বিশ্বাস করা যায় না,সুযোগ পেলে কামড়ে দেয়।সত্যি আমাদের নিজের প্রতি বিশ্বাসের বড্ড অভাব, আমাদের অন্তরে এবং বাইরে সত্য স্বরূপ পরমপিতা অনন্ত গুণ রূপে আছেন, আমার মধ্যে আছেন, আপনার মধ্যে আছেন,কোটি কোটি মানুষের মধ্যে আছেন,এই সৃষ্ট জগতের কোন কিছুর বাইরে তিঁনি নন।সীমার মধ্যে অসীম, অপূর্ণের মধ্যে থেকেও তিঁনি পরিপূর্ণ।এমন ব্যাক্তি আছেন যারা নিজেদের জ্ঞানী মনে করেন কিন্তু অজ্ঞানতা বশত ঈশ্বরের অস্তিত্বকে স্বীকার করেন না, ঈশ্বর শব্দের অর্থ গুণ আর গুণ বিনা কি জীব কি জড় কিছুই সম্ভব না,তাই প্রকারান্তরে সকলেই আস্তিক।


সত্য ধর্ম্ম গুণ অর্জনের পথ, গুণের অনুশীলন দ্বারা আত্মোন্নতি করাই জীবনের মূল উদ্দেশ্য।এভাবেই মানব জন্মের সার্থকতা সম্পাদিত হয়। সৃষ্টিকর্তার থেকে আমরা এসেছি আবার তাঁর সঙ্গে মিলিত হওয়া অর্থাৎ গুণী হওয়া,জীবনে এই মহতি উদ্দেশ্য না থাকলে গুণ প্রত্যক্ষ করার ক্ষমতা তৈরি হয় না,তখন পার্থিব মোহে আচ্ছন্ন হয়ে গুণী ব্যাক্তিকে দোষী মনে হয়।যতক্ষন অষ্টপাশ ষড়রিপু বশিভূত না হয় ততসময় গুণের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস আসে না। গুরুতে বিশ্বাস না থাকলে নির্ভরতা আসে না,এ জীবন বিফলে যায়।


যিঁনি আমাকে ব্রহ্মবীজ প্রদান করেছেন এবং জন্ম জন্মান্তরের আত্মোন্নতির দায়ভার নিজ গুণে গ্রহন করেছেন তিঁনি জানেন আমার কিভাবে আমার বিশ্বাস গুণ বৃদ্ধি পেতে পারে,তাই তিঁনি সিদ্ধি খরচ করে কৃপা করেন,তারপরেও অবিশ্বাস দূরিভূত হয় না কারন তাঁর গুণে তো আমরা পারদর্শী নই,নিজে পারি না বলে মনে হয় এটা বোধহয় অসম্ভব। অবিশ্বাসী দিগের কাছে তিঁনি গুপ্ত,গুণ কিন্তু প্রকাশ্যে থাকে প্রত্যক্ষকারির বৈশিষ্ট্যের তারতম্যের জন্য হৃদয়স্পর্শী হয় না

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ