গুণী ব্যক্তি ছাড়া গুণ দর্শন করা যায় না।সেই গুণের বৈশিষ্ট্য কিভাবে প্রকৃতিকে এবং আমাদের মধ্যে সৃষ্টিকর্তা রেখেছেন বুঝতে না পারলে গুণের ধারনা বা বিস্তৃতী অনুভব করা সম্ভব না।
একটি গাছের মধ্যে ভক্তি গুণ আছে,দয়া গুণটি আছে,প্রতি মূহুর্তে তারা আমাদের সেবায় নিয়োজিত,অক্সিজেন সহ বহু কিছু সরবরাহ করে,গাছে ঢিল ছুঁড়লে মিষ্টি ফল দেয়, গাছের বসে শাখা প্রশাখা কাটলে অন্য ডালপালা দিয়ে ছাঁয়া দান করে। সত্য ধর্ম্মের গুরু এমনই হন,তাঁকে যতই তিরস্কার করা হোক তিঁনি আশির্বাদ করেন।পাপগ্রহণ ক্ষমতা সম্পন্ন আদীষ্ট কখনো অভিশাপ দিতে পারেন না যে যতই অন্যায় করুক।
গুণ দর্শন করাই প্রেমের বৃদ্ধির সহায়ক,কারোর প্রতি ভালোবাসা তার গুণ দর্শন না করলে কোনভাবেই সম্ভব না।সৃষ্ট জগতে কি জীব কি জড় সবই গুণের সমষ্টি।গণের অভ্যাস করে অনন্ত গুণময় পরমেশ্বর কে জানতে পারাই মানব জন্মের সার্থকতা এবং ধর্ম্মের মূল উদ্দেশ্য।
সত্যধর্ম্মের মুখবন্ধেই আছে সত্যধর্ম্মে সাকার উপাসনা নাই। সাকার যার আকার নাই কেননা গুণ দেখা যায়না, ছোঁয়া যায় না, ধরা যায় না, আমরা অনুভূতি দ্বারা দেখতে পাই। যার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা ও ঘনত্ব আছে সেটাই সাকার যা ধরতে পারি ছুঁতে পারি দেখতে পারি তার অর্চনা আছে কিন্তু নিরাকারের অর্চনা নেই।
সত্যধর্ম্ম জ্ঞান ও প্রেমের ধর্ম্ম।সুতরাং পরম পিতার উপাসনাকালে সাকার কিছু রেখে উপাসনা করলে পাপে পতিত হতে হয়। যদি তা কেউ করে তাহলে সত্যধর্ম্মের প্রথম ধারা লঙ্ঘন করছে তাতে উন্নতি সম্ভব না।
শুক্ষ্ম ভাবে গুরুপূজা প্রধান। তাহলে গুরুদেবকে শুক্ষ্মভাবে ডেকেই পরমপিতার উপাসনা সমাপ্ত করতে হয়।গুরুদেব উপাসনায় আমাদের সাহায্য করছেন ও করেন তা সূক্ষ্ম ভাবেই।গুরুদেব সাকার তাঁর সীমা আছে পরমপিতা নিরাকার ও অসীম।
সত্যকে বুঝতে হবে বিশেষ জ্ঞান দ্বারা অর্থাৎ বিজ্ঞান দ্বারা।
0 মন্তব্যসমূহ