শিক্ষার সাধারণ নিয়ম।


শিক্ষা বলতে জ্ঞান অর্জন এর প্রাথমিক পর্যায়,কোন বিষয়ের কার্য কারন সম্পর্কে গভীর ভাবে জানতে পারলে আমাদের যে ধারনা হয় তার মাধ্যমে আমরা শিখতে পারি।
সৃষ্ট জগতে প্রকৃতিতে কি জীব কি জড় সবকিছুই গুণের সমষ্টি। গুণের বৈশিষ্ট্যের যে বিভিন্নতা তার দ্বারা পরিচালিত হয়।"নাহি ক্রম ভঙ্গ,পূর্ণ প্রতি অঙ্গ,নাহি বৃদ্ধি অপচয়,যে যাহার কাজ নিরবে সাধিচে উপদেশ নাহি লয়"। এই বিশ্বপ্রকৃতি পরমপিতার নিয়মের অধীন, কেবল মনুষ্যের মধ্যে ব্যাক্তিত্ব আরোপ করে স্বাধীনতা দিয়েছেন,দোষ গুণের মিশ্রিত ভাবে। আমরা চাই বা না চাই সময়ে সাথে সাথে আমারা গুণ অর্জন করতে থাকি তবে জেনে নিয়ে সেই শিক্ষা গ্রহণ করলে তা ফলপ্রসূ হয়।
"তব ইচ্ছা বলে সদা বহে সমীরণ,তব ইচ্ছা বলে ভানু প্রদানে কিরণ,জলদে বরষে বারি তোমারি ইচ্ছায়",বাতাস কোন গোলার্ধে কোন দিকে প্রবাহিত হবে,সূর্যের উদয় অস্ত,মেঘ সৃষ্টি, বৃষ্টি হওয়া,প্রতিটি ভৌগলিক,আঞ্চলিক, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এই সমস্ত কিছুই আমাদের শিক্ষার অন্তর্গত।যেমন গাছ থেকে আপেল মাটিতে পড়ছে দেখতে পেয়ে বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিষ্কার করেন,তিনি বলার আগে থেকেই কিন্তু এই শক্তির অস্তিত্ব ছিলো তার কার্য কারন ধারনা তিনি উপস্থাপন করেছেন।পাঠ্য বিষয়ে আমরা এই ঘটনা গুলির কার্যকারণ পড়ি তবে কর্তা যার কর্তৃক সকল কর্ম হয় তাকে বুঝতে সমর্থ হইনা।তাই প্রকৃত শিক্ষা থেকে প্রায় সবাই বিরত।তিনি নিরাকার অনন্ত অনন্ত অনন্ত গুণের সমষ্টি, অনুভূতি সাপেক্ষ এবং অবশ্যই বিজ্ঞান সম্মত ভাবে প্রমান করা সম্ভব।
অনেকে বলে থাকেন প্রকৃতির নিয়মই ঈশ্বর,সত্যিই তো,অনন্ত জ্ঞানময় তিঁনি। যে যতটাই জ্ঞানী হোন না কেন তবুও জানা বাকি থেকে যায়।জ্ঞানের সহিত প্রেম মিলিত হলে আত্মোপলব্ধিতে কোন আবিষ্কার সম্ভব। সত্য ধর্ম্মের প্রকৃত শিক্ষিত ব্যাক্তির বৈশিষ্ট্য কেমন হয় তাই বর্ণিত আছে।
শিক্ষার সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে কার্যজ্ঞান এবং পশ্চাদ কারন জ্ঞান আবশ্যক।কোন বিষয়ে কর্ম না করে তার ফল পাওয়া সম্ভব না।গুরু যদি বলেন উপাসনা সাধনা করতে তবে প্রথমেই সহজ জ্ঞান নির্ভরতা এবং বিশ্বাস সহযোগে সেই কর্ম করে যেতে হবে প্রথমেই উন্নতি দেখতে চাইলে সম্ভব না।
বাঁচার তাগিদে, শরীর রক্ষার্থে আমরা খাবার খাই,আমরা দেখি যে খাবার গ্রহন করলে শক্তি বৃদ্ধি হয় এটা আমরা কার্যজ্ঞানে করে থাকি।
গর্ভাবস্থায় স্বামী যদি দূর কোন স্থানে থাকেন,ওই সন্তান বড়ো হয়ে সেই ব্যাক্তির সংস্পর্শে এলে তার হৃদয়ে এক অদ্ভুত স্নেহের উদয় হয় এটি কার্যজ্ঞানে উপলব্ধি হয়।
কুকুর বিড়ালদের শরীর অসুস্থ বোধ হলে তারা ঘাস পাতা খেয়ে ইচ্ছাকৃত বমি করে এবং কিছু সময় পর সেই বমি খেয়ে নিজেরাই রোগ সারিয়ে নেয়,এ থেকে বোঝা যায় ওই কার্যের কারনজ্ঞান তারা জানে।
শিশু ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর মাতৃস্তনের দুগ্ধ পানের কৌশল তাকে শেখাতে হয় না ভীষণ স্বাভাবিক নিয়মেই তাদের এই কার্যের জ্ঞান থাকে।
প্রকৃতির প্রতিটি বিষয় তারা যেমন উন্নত, তাদের থেকে প্রতি মূহুর্তে আমাদের গুণ শেখার আছে,জন্ম জন্মা ধরে আমরা যেসব খারাপ অভ্যাসে অভ্যস্ত তার প্রভাবে আমরা আত্মায় ভালো কিছুর যোগান দিতে ব্যার্থ হই তবে সত্যকে অন্তরস্থ করতে পারাতেই আত্মোন্নতির উন্নতির শুভ সূচনা, পার্থিব শিক্ষা এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষা একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সেই সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্য একজন পরমেশ্বর এঁর নির্ধারিত প্রায় অশেষ গুণসম্পন্ন যোগ্য পথপ্রদর্শক এর প্রয়োজন পৃথিবীতে একমাত্র সত্যধর্ম্মে আদীষ্ট তেমনই হন,তাই সকল বিষয়ে শিক্ষাদানে তিনি সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হন।
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ